ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোেগে সংবাদ সম্মেলন


আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-২৮ ১৪:৫৩:২৬
পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোেগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোেগে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ সোহাগ বিশেষ প্রতিনিধি:

রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনিয়ম অসহযােগিতার কারণে একটি অনুমোেদিত প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে এবং সম্প্রতি বিনা নোটিশে উচ্ছেদের নামে আতস্ক সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযােগ করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক নাজির মােঃ আশরাফ আলী। (২৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধায় পটুয়াখালী জেলা রিপাে্র্স ক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোেগ করেন।


সন্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ, আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আজকের সংবাদ সম্মেলন করার লক্ষ্যে আপনাদের কাছ উপস্থিত হয়েছি।

আমি মোঃ আশরাফ আলী, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা নাজির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং ২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করি।  পরবর্তীতে আমার পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর নির্মিত ভবনকে ভিত্তি করে রূপালী ব্যাংক, নিউটাউন শাখার ম্যানেজার ও তৎকালীন এজিএম-এর অনুরোধে একটি হোটেল প্রকল্পের জন্য ঋণ গ্রহণ করি। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনে মোট ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।

কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম, অর্থ ছাড়ে গড়িমসি এবং স্বার্থসিদ্ধির কারণে প্রকল্পটি বারবার জটিলতায় পড়ে। এমনকি ম্যানেজার কর্তৃক অনুমোদিত অর্থ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনাও ঘটেছে, যা পরে চাপের মুখে ফেরত দেওয়া হয়।

পরে প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শে হোটেল প্রকল্পের পরিবর্তে হাসপাতাল প্রকল্প গ্রহণের জন্য আবেদন করি এবং স্থানীয় চিকিৎসক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের মতামত নিয়েও সমর্থন পাওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় প্রকল্পটি এগোয়নি।পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, প্রধান কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় না করে স্থানীয় ব্যাংক ম্যানেজার একের পর এক নোটিশ দিয়ে প্রকল্প বাতিল, ঋণ আদায় এবং ভবন নিলামের চেষ্টা চালায়। এর বিরুদ্ধে আমি মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের করি এবং নিলাম স্থগিত হয়।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০:৩০ মিনিটে বিনা নোটিশে, বিনা আদেশে ব্যাংক কর্মকর্তারা, আইনজীবী এবং পুলিশ বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে উচ্ছেদের নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে তাণ্ডব চালায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আমার বাড়িতে একটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ১৫টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল, যাদের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জন নারী-পুরুষ-শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

 তাদের এ ঘটনায় প্রতিবেশী, সাংবাদিক সহ পথচারীরা ঘটনাস্থলের জড়ো হয় এবং পুরো ঘটনা সকলের সামনে ঘটে। ঘটনার সময় আমাকে আদালত কর্তৃপক্ষ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে কিন্তু আমি তাদের কাছে বিনয়ের সাথে বাড়ি ছাড়ার পূর্ব নোটিশ দেখতে চাই। তবে তারা আমাকে কোন ধরনের নোটিশ দেখাতে পারে নাই এবং পরবর্তীতে সকলে দলবল নিয়ে চলে যায়। 

আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আজকের এ অভিযানটি পুরো অনানুষ্ঠানিকভাবে করেছে  যাহা অমানবিক এবং নিন্দনীয়। আমি সরকারের কাছে, প্রশাসনের কাছে এবং আইনের কাছে যথাযথ বিচার ও সুরক্ষা কামনা করছি।



নিউজটি আপডেট করেছেন : [email protected]

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ